প্রকাশিত: Thu, Jan 26, 2023 4:29 PM
আপডেট: Tue, Jul 8, 2025 4:24 PM

ডাক্তারদের সরকারি কর্মস্থলে রোগী দেখার নীতিমালা প্রয়োজন: ডা. ইকবাল আর্সলান

শাহীন খন্দকার: চিকিৎসকদের কর্মস্থলেই রোগী দেখতে হবে, সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে ৫০টি উপজেলা, ২০টি জেলা এবং পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে শুরু হবে শুনেছি। উদ্যোগটি সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরিচালনা হলে চিকিৎসাসেবায় মানবতার লক্ষ্যে জনগণের জন্য কাজ করবে।

ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রস্তুতি আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে চেম্বার পরিচালনার ব্যবস্থ্যা আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা থাকা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, এই আর্থিক ব্যবস্থাপনা স্থানীয়ভাবে হবে, নাকি সরকারি ট্রেজারির মাধ্যমে হবে বিষয়গুলো কিভাবে হবে তারও সঠিক নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সরকারের মহতী উদ্যোগ মুখ থুবরে যাতে না পড়ে নিতীনির্ধরকদের সে দিকে  খেয়াল রাখতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কর্মস্থলেই  বৈকালিন রোগী দেখা শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে, বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশাল হাসপাতালে, বার্ডেম , হার্টফাউন্ডেশনসহ মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে আমাদের চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের রেসপিরেটরী মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান  অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা সরকারি যে হাসপাতালে চাকরি করছেন, তারা ওই হাসপাতালেই প্র্যাকটিস (ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখতে) করতে পারবেন । ইচ্ছে করলে তারা বাইরেও প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অত্যন্ত ৭৫ শতাংশ মানুষকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

রোগীদের  সেবার পাশাপাশি চিকিৎসকদের শিক্ষা ও গবেষণাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ডা. আতিকুর রহমান আরো বলেন, বিএসএমএমইতে পূর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সকাল ৮টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিতেন। এর পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাসায় চলে গেলেও চিকিৎসকরা কিন্তু রোগীদের সেবায় শিফটিং করে হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মূলত চিকিৎসকদের কর্মঘণ্টার বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যাতে হাসপাতালে থাকেন এবং রোগীরা তাদের সেবাপান, সে বিষয়েই চিন্তাভাবনা চলছে। 

এতে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা আরো শিক্ষা অর্জন করে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। গবেষণা যাতে দীর্ঘ হয় এসব দিক বিবেচনা করেই সরকারে এই উদ্যোগের চিন্তাভাবনা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি যে ঘোষণা দিয়েছেন, এই কার্যক্রম আজ থেকে ১০ বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসাসেবা শুরু করেছে ইনস্টিউশন প্রাকটিস আড়াইটার পর ৩ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত। 

ডা. আতিকুর রহমান বলেন,সরকার পরীক্ষামূলক ভাবে ঢাকা মেডিকেল সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, কিডনী হাসপাতাল, হৃদরোগসহ বিভাগিয় শহর, জেলাগুলোর সব হাসপাতাল এবং  উপজেলায় পর্যায়ে ১০ শতাংশ চালু করতে পারেন। সম্পাদনা: এল আর বাদল